ফাঁদ পেতে এয়ারগানে পাখি শিকার করে উল্লাস সেই ‘সার্জেন্টের’

রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব সরফভাটায় এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকারের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।

অবসরপ্রাপ্ত সেই সার্জেন্টের নাম আলমগীর চৌধুরী ওরফে আর্মি আলমগীর। তিনি সরফভাটা এলাকার মৃত ছমিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।

কিছুদিন আগে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে এয়ারগান ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ করে। এরমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাখি শিকারে ঘটনা ঘটল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাবেক সার্জেন্ট আলমগীর চৌধুরী দুই সহযোগী নিয়ে সরফভাটার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন বালুচরে পাখি শিকারে করতে আসেন। এ সময় এয়ারগান দিয়ে দুটি অতিথি পাখি হত্যা করেন। পাখি দুটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির।

আরও পড়ুন : এয়ারগান বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করল সরকার

এদিকে পাখি দুটি বিদেশি প্রজাতির বলে ধারনা করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী পূর্ব সরফভাটা স’মিলের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, হাঁস দুটি শিকার করতে দেখে মনে খুব কষ্ট পেয়েছি। এসব সচেতন-শিক্ষিত মানুষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে জানতে সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এদিকে কয়েকদিন আগে কোদালা চা বাগানের শ্রমিকরা পাহাড়ে একটি সজারু হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বন্যপ্রাণী আইনে পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিনিয়ত সরফভাটার সরকারি বনভূমি জলাশয়ে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী, পাখি শিকার করা হচ্ছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের এক কর্মকর্তা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অতিথি পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করে পাখি শিকার করলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দণ্ডের মেয়াদ দ্বিগুণ হবে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!