কিছুদিন আগে এক বৃদ্ধার টাকা ‘মেরে খাওয়ার’ অপরাধে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত ও তাঁর ছেলে নিরোৎপল দত্ত। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল।
এদিকে এ ঘটনার পর মিনু রাণীকে নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বের হয়ে এলো থলের বিড়াল। এবার মেয়ে, মেয়ের জামাই, স্বামী, ভাইসহ পরিবারের সাত সদস্যের নামে সরকারি ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৭ নম্বর সদর ইউনিয়নের এই সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মিনু রাণী দত্ত মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা সমর দাশের সঙ্গে। কিন্তু সন্দ্বীপের বাসিন্দা হয়েও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমর দাশ আনোয়ারার ভোটার হন। এরপর শাশুড়ির দাপট খাটিয়ে নিজের নাম প্রতিবন্ধীর ভাতার তালিকায় লেখান সমর।
এছাড়া প্রতিবন্ধীর তালিকায় আছেন মিনু রাণীর নাতনি ৫ বছরের শিশুকন্যা প্রাপ্তি দত্ত রেশমি।
শুধু তাই নয়, মিনু রাণী দত্তের ভাই পীযুষ দত্তের জন্ম ১৯৬৫ সালে হলেও গত কয়েকবছর ধরে তিনি বয়স্কভাতা নিয়ে আসছিলেন। পরে সরকার অনলাইনে বয়স্কভাতা দিলে কপাল পুড়ে তাঁর।
এদিকে মিনু রাণীর মেয়ে কৃষ্ণা দত্ত বিয়ের পরও পাচ্ছেন ভিজিএফ কার্ডের সেই ১০ টাকার চাল। আর ছেলের বউ টুম্পা দত্তের নাম আছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তালিকায়। তিনি পাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ভাতা।
ভাতা থেকে মিনু রাণী নিরাশ করেননি কাকী ননী প্রভা দাশ ও স্বামী দীপক দত্তকেও। তাদের নাম লিখিয়ে দিয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে থাকা বয়স্কভাতার তালিকায়।
এভাবে ৭টি কার্ডে সবমিলিয়ে ৭ হাজার ১০০ টাকার সরকারি ভাতা নিজের ঘরেই তুলে নিচ্ছেন ইউপি সদস্য হিসেবে ২৩ বছর রাজত্ব করা মিনু রাণী দত্ত।
আনোয়ারা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পুরুষের ৬৫ বছর এবং নারীর ৬২ বছর বয়স হলেই বয়স্কভাতার অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
তবে মিনু রাণী দত্ত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি ২৩ বছর নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবে আছি। তাই আশপাশের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার ভাই পীযুষ দত্ত আগে ভাতা পেলেও এখন পাচ্ছে না।
তবে পরিবারে দুই সদস্য ভাতা পাচ্ছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্তের বিরুদ্ধে বয়স্কভাতা আত্মসাতের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। এক পরিবারে সাত সদস্যের ভাতা সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একই এলাকার অরণ্য বালা দে নামে ৯১ বয়সের এক বৃদ্ধার বয়স্কভাতার টাকা মিনু রাণী দত্তের ছেলে নিরোৎপল দত্তের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আলোকিত চট্টগ্রামে সংবাদ প্রকাশ হয়। যার শিরোনাম ছিল : ‘অদ্ভুত কাণ্ড’—৯১ বছরের বৃদ্ধার ‘বয়স্ক ভাতা’ ইউপি সদস্যের ছেলের পকেটে। এরপর ইউএনও ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই বৃদ্ধাকে ১০ হাজার টাকা এবং খাদ্য সহায়তা দেন। অপরদিকে চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেবের মাধ্যমে ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত টাকা ফিরিয়ে দেন সেই বৃদ্ধাকে।
ডিসি
ইমরান ভাই, এই মহামারী করোনাকালে সৃষ্টিকর্তা আপনার এবং আপনার পরিবারের হেদায়েত করুক। মেম্বার বলে তাঁর আত্নীয় স্বজনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন না? ২০/২২ বৎসর মেম্বারী জীবনে তাঁর পরিবারের কেউ ইউনিয়ন পরিষদে
গেল না, তারপরও তাঁর পরিবার নিয়ে লেখা-লেখি করতেছেন। ঠিক আছে, লেখেন! সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দিলাম।
আপনার কাছে বিনয়ের সাথে জানতে চাই, সরকার বয়স্ক ভাতা মাসে, মাসে দেয় নাকি ছয় মাসে একবার দেয় । কোন একটা লোক ৬/৭ বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসলে ( মহিলা মেম্বারের পরিবারের নম্বর দিলেও) টাকা মেরে খাওয়ার সুযোগ আছে কি, না ?
ইমরান ভাই, আপনার এই ফাটাফাটি, বস্তুনিষ্ঠ ! সংবাদ নিয়ে গতকাল শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গবেষক জামাল উদ্দিন ভাইয়ের চেম্বারে আরও অন্যান্য সাংবাদিক ভাইদের সাথে আলোচনা হয়েছে। আপনার এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে তিলকে, তাল বানানোর ক্ষমতা নিয়ে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন। শীঘ্রই, যে কোন জাতীয় দৈনিক থেকে আপনার চাকরির ডাক আসতে পারে। তৈরী থাকবেন।