গণঅভ্যুত্থান স্বাধীনতার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রাম।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা নগরের সংগঠন কার্যালয়ে সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন মুন্নার সঞ্চালনায় সভায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

আলোচনায় অংশ নেন আবদুল মালেক খান, অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, মো. কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, মোরশেদ আহমেদ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, কোহিনুর আকতার, সোহেল ইকবাল, এসএম রাফি, মিশু সেন, ইকবাল করিম ও আবদুর রহিম।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয় : বেদারুল আলম চৌধুরী

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময়ে ১১ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারাবাহিকতায় একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা এসেছে।

বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন দমাতে পাকিস্তানিরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে শেখ মুজিবসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করে। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অনিবার্য হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

সভায় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!