‘কিশোর গ্যাং’—রাতে বন্ধুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে খুন, মধ্যরাতে ঝোপে মিলল লাশ

আনোয়ারায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে। শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ফোনে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায় তার এক বন্ধু। রাত ২টায় ঝোপের আড়ালে পাওয়া যায় তার লাশ।

নিহত কিশোরের নাম আবদুল্লাহ আল মাসুম (১৮)। শনিবার রাত দুইটায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের ইছামতী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মাসুম আনোয়ারা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইউছুফের ছেলে। ইউছুফ জানান, ভাত খাওয়ার জন্য বসছিল সে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সাবেক মেম্বারের ছেলে দিপ্ত দত্ত তাকে ফোন করলে সে বের হয়। এসময় মোটরসাইকেল করে চলে যায় বাইরে। রাত পৌনে দুইটার দিকে থানা পুলিশ জানায় আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে বাঁশের ঝোঁপে। এটা হত্যাকাণ্ড। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমার ছেলেকে খুন করেছে।

আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং—রিকশা ছিনিয়ে নিতে কিশোর খুন

থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৪০০ মিটারের মতো। নিহত মাসুমের গলা, কোমর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে দশটার সময় উপজেলা সদর থেকে চাতরী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সনজিত দত্ত প্রকাশ সাগর মেম্বারের ছেলে দিপ্ত দত্তের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ইছামতি এলাকার দিকে যান মাসুম। পরে রাত পৌনে দুইটার সময় পুলিশের ফোন পেয়ে ইছামতি এলাকায় গিয়ে মাসুমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে নিহতের বাবা ইউছুফ অভিযোগ করেন, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সে মেজ ছেলে। আমি থানায় মামলা করবো।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রশাসনকে আহ্বান করব সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার।

আরও পড়ুন: কিশোরের লাশ পড়ে ছিল ধানক্ষেতে

এদিকে বিচারের দাবিতে সকালে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদের কার্যালয় ও থানায় বিক্ষোভ করেন। সকাল সাড়ে এগারোটার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার এবং ওসি তদন্ত সাঈদ ওমর।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!