অভিমান ভেঙে ভালোবাসায় জড়ালেন কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, মানুষের মান অভিমানের মধ্যে মানবজীবন রচিত হয়। আপনজনের প্রতি সাময়িক অভিমান হলেও তা কখনো স্থায়ী হতে পারে না।

বড় ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনটি বলেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ নিয়ে শনিবার (২২ মে) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন কাদের মির্জা।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি পোস্ট দিয়ে কাদের মির্জা লেখেন, “আমার পিতৃসমতুল্য সহোদর বড় ভাই। বাংলাদেশের মেধাবী রাজনীতির প্রতীক, যিনি তৃণমূল থেকে নিজ মেধা ও শ্রমে এশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকে পদাস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের অন্যতম সফল মন্ত্রী হয়েছেন।

আমরা সর্বদা রাজনীতি করেছি জনগণের জন্য, জনকল্যাণের জন্য। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বিশ্বাস করে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, ইনশাআল্লাহ, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগণের জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখবো।

মানুষের মান-অভিমানের মধ্যে মানবজীবন রচিত হয়। আপনজনের প্রতি সাময়িক অভিমান হলেও তা কখনো স্থায়ী হতে পারে না। সকল গ্লানি ভুলে শান্তির কোম্পানীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে একত্রিত হতে আহ্বান জানাচ্ছি। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।’

এর আগে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

গত বছরের অক্টোবরে আমেরিকা যাওয়ার আগে পারিবারিকভাবে দুই ভাইয়ের দেখা হয়েছিল। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন কাদের মির্জা। ওইদিন দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। গত ডিসেম্বরে তিনি বসুরহাট পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!