বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও চট্টগ্রামের হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর দ্বন্দ্বটা পুরোনো। আরেকটু বড় পরিসরে দেখলে দ্বন্দ্বটা দুই পরিবারেরও।
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রীড়াঙ্গনে দুই পরিবারের ‘দাপট’ চোখে পড়ার মতো। বসুন্ধরা গ্রুপ ও পটিয়ার সাংসদ হুইপ শামসুল হক চৌধুরীপুত্র শারুন পরিবারের ‘ঘরের বিবাদ’ স্বাভাবিকভাবেই তাই বাইরের মানুষদের কাছে ‘হটকেকের’ মতো।
সেই ‘হটকেক’ এখন রঙিন মোড়কে বেচতে শুরু করেছে দেশের প্রথমসারির কিছু সংবাদমাধ্যম। তবে প্রকাশিত সেই খবরে আক্রমণের তীর ছুটছে শুধু একদিকেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় এসব পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে পটিয়ার সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী ও তাঁর ছেলে শারুন চৌধুরীকে সরাসরি ‘টার্গেট’ করেই প্রকাশ হচ্ছে একের পর এক খবর।
পত্রিকার প্রথম পাতা কিংবা অনলাইন পোর্টালের প্রচ্ছদে খবরগুলো এমনভাবে দেওয়া হচ্ছে, যাতে খুব সহজেই নজর কাড়ে।
সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আলোচিত মুনিয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা চলাকালীন সময়ও দেখা মিলেছে খবরের এমন চিত্র। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় আনভীরকে নিয়ে, অথচ এমন সময়েও বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়ার ‘ফোকাস পয়েন্টে’ ছিলেন শারুন!
বিষোদগার চলছিল, চলছে। তবে এতদিন বসুন্ধরা গ্রুপ ও সায়েম সোবহান আনভীরসহ গ্রুপের কর্নধারদের বিরুদ্ধে সেভাবে পাল্টা উত্তর দিতে দেখা যায়নি শামসুল হক চৌধুরী কিংবা তাঁর ছেলে শারুন চৌধুরীকে।
সে ‘নীরবতা’র শেষ হয়েছে। মুখ খুলেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার ও চট্টগ্রাম আবাহনীর পরিচালক হুইপপুত্র শারুন চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য শারুন।
শারুন চৌধুরীর সেই পোস্ট
বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে আমার অনেক বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এই মতবিরোধের জের ধরে আমি তাঁর আক্রোশের শিকার হয়েছি। এই সুবাদে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ২৪, ডেইলি সান, নিউজ২৪ টিভি ও তাদের পেইড কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা প্রায় ২ বছর ধরে আমি, আমার পিতা হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ও আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচারে লিপ্ত।
সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত বসুন্ধরার মালিকানাধীন মিডিয়াগুলোর এসব হাস্যকর মিথ্যাচার দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে। ফেসবুক, ইউটিউবে টাকা খরচ করে বুস্ট করে স্পনসরড এড দিয়ে একের পর এক এসব মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও তাদের এসব প্রোপাগান্ডা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি এবং লকডাউনের পরেই কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিব ইনশাল্লাহ।
বসুন্ধরার মিডিয়াতে কর্মরত সম্মানিত সাংবাদিকদের ওপর আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ ওনারা মিডিয়া মালিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেন না, এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের আইনে যেহেতু মামলা করলে প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করতে হয়, তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দিতে আমাদের বিবেক বাধা দিচ্ছে, কারণ আমরা মনে করি মালিকের নির্দেশ অমান্য করার মতো তাদের ক্ষমতা নেই।
কিন্তু আর কত? এসব পাত্তা না দিয়ে চুপ থেকে সহ্য করেছি। এখনও করে যাচ্ছি। কারণ এই মিডিয়া মালিকের জঘন্য মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রিঅ্যাকশনে সম্মানিত সাংবাদিক সমাজকে আমরা প্রতিপক্ষ করতে চাই না। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করুন। কারো সাথে মতের অমিল হলেই তার বিরুদ্ধে বসুন্ধরার নিজের মালিকানাধীন মিডিয়া ও বিজ্ঞাপনের জোরে সিন্ডিকেটেড নিউজ ও অপপ্রচারের এই নোংরামী সকলে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। মহান আল্লাহ তাদের এসব নোংরা মন-মানসিকতা দূর করে বিবেককে জাগ্রত করুক, এই দোয়া করি। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
প্রিয় নেতা সারুন চৌধুরীর সাথে আছি সবসময়। এইসব কালোবাজারি বসুন্ধরার বেলকি পাবলিক বুঝে
সংসদে শামীম ওসমান ভাই সেদিন সব তথ্য উল্লেখ করে একটি বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে এই বসুন্ধরা গ্রুপ ১০০ জন এমপিকে টার্গেট করেছে যাদের পরবর্তীতে রাজনীতি করা খুবই কষ্ট হবে।এখন বুঝতে পারছি এই ১০০ জনের মধ্যে আমাদের প্রিয়নেতা অালহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী এমপিও অাছেন।অামাদের প্রিয়নেতাকে তাদের কালো টাকার জোরে সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এই বসুন্ধরা।কিন্তু পটিয়াবাসী সবসময় প্রিয়নেতার পাশে ছিল অাছে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
অনেক টাকার মালিক হলে ডজন খানেক সংবাদ পত্র, টিভি চ্যানেল খুলে নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়া, অন্যের বিরুদ্ধে শুধু প্রপাগান্ডা কেন? মানুষ মেরে ফেললেও কিছু হবেনা। আর এই দেশে এটাই স্বাভাবিক।
হুইপ সামছুল হক চৌঃ-ও আলোকিত মানুষ নন। যেমন পিতা – তেমন সন্তান। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরের চরিত্রও ভালো নয়। কেউ দুধে দোয়া তুলসীপাতা নয়। এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন জাগে।
এদের উভয় পরিবারের আগের প্রজন্মও উল্লেখযোগ্য অবস্হানে ছিলেননা। নতুন হালে টাকাওয়ালা সম্পদশালী হয়ে আভিজাত্যের ভাব দেখায়।
প্রবাদ আছে :
আঙুল ফুলে কলাগাছ,
জাত বংশ সর্বনাশ ।
আপনারা এতো নিচু মানের একতরফা একটি খবর কেনো প্রকাশ করলেন ! এটাতো সাংবাদিকতার ভাষায় “সংবাদের আদলে বিজ্ঞাপন” হয়ে গিয়েছে । হুইপ পুত্র শারুনের বিজ্ঞাপন । লজ্জা লাগে না আপনাদের একতরফা সংবাদ প্রকাশে ?
আমি শামসুল হক সাহেবকে ব্যক্তিগত ভাবে ছিনি,জানি।কেউ থাকুক বা না থাকুক আমি উনার পাশে থাকবো।ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকরা এখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিতে হবে।দালাল
এরকম হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধে ভাল সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।