চট্টগ্রামে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়েছে। একদিনে করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক রোগী। শনাক্তের হারও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী ধারায়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ১০০ নমুনা পরীক্ষায় ৭৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫১০ জন নগরের এবং ২৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে মারা গেছেন ১০ করোনা রোগী। এরমধ্যে ২ জন নগরের এবং ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৫৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬৩ হাজার ৬৯৬ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৪ নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে ৪৭০ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১৭২ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ৩১৩ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১০৭ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০৬ নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ৫১৯ নমুনা পরীক্ষায় ১৮৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৪০ নমুনা পরীক্ষায় ৬৫ জন, শেভরন ল্যাবে ১৫৬ নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩ নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৪০ নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন এবং মেডিকেল সেন্টারে ৬৯ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৫ জন, সাতকানিয়ার ১২ জন, বাঁশখালীর ৭ জন, আনোয়ারার ১৯ জন, চন্দনাইশের ৩ জন, পটিয়ার ১৬ জন, বোয়ালখালীর ৩ জন, রাঙ্গুনিয়ার ২৩ জন, রাউজানের ২৮ জন, ফটিকছড়ির ২০ জন, হাটহাজারীর ৪৩ জন, সীতাকুণ্ডের ৪২ জন, মিরসরাইয়ের ৩৭ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৫ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ