চকবাজার ‘পুলিশের নাটক’ শেষ হলো সেই টিনুকেই প্রধান আসামি করে

চট্টগ্রাম কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় আসামির নাম বাদ দিতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার নাটক শেষ হলো মামলা নিয়ে। কথিত যুবলীগ নেতা ও চকবাজারের সন্ত্রাসী নূর মোস্তফা টিনুকেই প্রধান আসামি করে মামলাটি নেয় চকবাজার থানা পুলিশ।

বুধবার (১৬ জুন) মধ্যরাতের পর থানায় মামলা করেন হামলায় আহত চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স শেষবর্ষের পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সায়মন। তবে মামলার বিষয়টিও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে ‘গোপন’ রাখার চেষ্টা চালায়। গণমাধ্যমকে তথ্য দিতেও লুকোচুরি করে চকবাজার থানার পুলিশ।

এদিকে মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। নূর মোস্তফা টিনুকে প্রধান আসামি, আমির উদ্দীনকে দুই নম্বর এবং জিয়াউদ্দীন আরমানকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বাদির জমা দেওয়া এজাহারে ‘সন্ত্রাসী’ টিনুর নাম থাকায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে চকবাজার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা থানায় অপেক্ষার পরও মামলা করতে পারেনি ভুক্তভোগী। পরে রাত ১২টার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর মামলা নেয় পুলিশ।

এর আগে বুধবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বহিরাগতদের নিয়ে সভাপতি মাহমুদুল করিমের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হন আব্দুল্লাহ আল সায়মন, কাজী মো. আব্দুল মালেক রুমি, মো. ইমনসহ সাতজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সায়মন ও রুমিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সবাই কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী।

সংঘর্ষের ঘটনায় আটকরা হলেন—বহিরাগত সৌরভ সাহা ও চট্টগ্রাম কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র সিরাজুল ইসলাম তোরাব। আটক দুইজন কথিত যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় চকবাজারের কাপাসগোলা থেকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ নূর মোস্তফা টিনুকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। পরে টিনুর বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি শটগান ও ৬৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের করা মামলায় টিনুকে যেতে হয় কারাগারে। দীর্ঘ ১ বছর ৪ মাস কারাভোগের পর চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন টিনু।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!