সীতাকুণ্ডে জোড়া খুনে ৪ জনের যাবজ্জীবন

সীতাকুণ্ডে জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলায় তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) পঞ্চম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাদশা আলম, মো. ফারুক মিয়া, সেকান্দর ও মো. আবুল কালাম আজাদ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রবীর দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, জোড়া খুনের মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে স্বামীকে

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল রাত ২টা থেকে মো. হারুন ও তার ফুফাত ভাই মো. জাহিদুল আলম প্রকাশ বাচাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভোরে পরিবার জানতে পারে স্থানীয় ইকুইটি রেডিমেক্স নামক প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাত ৩টা থেকে তাদের আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এমন সংবাদে হারুনের বাবা মোহাম্মদ আলী প্রকাশ মনা মিয়াসহ এলাকার কয়েকজন তাদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। এসময় মামলার আসামি বাদশা আলম, ফারুক মিয়া, সেকান্দর, শফিউল আলম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. শাহজাহান মিলে সিরাজদ্দৌলা হারুন ও জাহিদুলকে নির্যাতন করছিল। বেধড়ক মারধরের কারণে তারা দুজন গুরুতর আহত হন। 

এ ঘটনায় থানায় মনা মিয়া মামলা করলে পুলিশ এসে হারুন ও জাহিদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন করে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এজাহারে সাতজনের নাম থাকলেও তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!