২২ দিন সাগরে যেতে পারবে না জেলেরা, ইলিশ ধরা মানা

দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। আজ রোববার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হবে এ নিষেধাজ্ঞা।

ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কয়েক বছর ধরে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশে ২০০৩-০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল।

আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ—আবারো ২২ দিনের মানা

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর প্রায় ৬ লাখ টন ইলিশ আহরণের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। একদশক আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যেত। বর্তমানে ১২৫ থেকে ১৩০টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম রয়েছে।

আরও পড়ুন: মাছ রপ্তানি করেই ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা আয় সীতাকুণ্ডে

এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন অর্থাৎ আট মাস জাটকা (৯ ইঞ্চির কম) নিধনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বছরে অন্তত দশ মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সাগরে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। শুধু ইলিশই নয়, অন্যান্য মাছও বড় হয়েছে। এর সুফল মিলছে দেশের মৎস্য খাতে।

প্রসঙ্গত, সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সরকারিভাবে সারাদেশে নিবন্ধিত ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫ জন জেলে ও জেলেশ্রমিক রয়েছে। বাণিজ্যিক ট্রলার রয়েছে ৩০টি। যান্ত্রিক মৎস্য নৌযান রয়েছে ৩২ হাজার।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!