১০ কোটি টাকা মেরে মহিউদ্দিন মারুফের কেটে গেল ১৪ বছর

ঋণখেলাপির দায়ে ৫ মাসের সাজাপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন মারুফ নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদে তাকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন: বিকৃত মনের মধ্যবয়সীকে পাঠানো হলো জেলে

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রহিম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় মহিউদ্দিন মারুফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ৩ জুলাই জনতা ব্যাংকের ১০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে মেসার্স কাদের সিন্ডেকেটের দুই স্বত্বাধিকারীকে ৫ মাসের সাজা দেন অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।

গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন মারুফ বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার বাদশা মিয়া চৌধুরী বাড়ির হাজী দিল মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামি হলেন রাশেদ উদ্দিন চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মেসার্স কাদের সিন্ডিকেট নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য জনতা ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ কর্পোরেট শাখা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে।

এরপর ২০০৫ সালে ডিক্রির পর নির্দেশিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্যাংক অর্থজারি মামলা করে। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৮ সালে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফ এবং রাশেদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এদিকে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে দায়িকরা গ্রেপ্তার না হওয়া এবং ব্যাংক কোনোরকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় আসামিদের সর্বশেষ আবাসিক ঠিকানা দাখিলে ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। না হয় মামলা খারিজ হবে মর্মে সতর্ক করা হয়।

আরও পড়ুন: বৌ—মেয়েকে মেরে জেলে গেল পরকীয়ায় মগ্ন চকবাজার থানার পুলিশ

এরপর চলতি বছরের ৩ জুলাই ব্যাংক ঋণখেলাপিদের হালনাগাদ ঠিকানাসহ দেওয়ানি আটকাদেশের আবেদন করেন। এতে আদালত দুই ব্যবসায়ীর ৫ মাসের সাজা এবং একইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য র‌্যাব-৭ কে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, জনতা ব্যাংক কোতোয়ালি শাখা ১০ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তাছাড়া তাদের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে বেশ কয়েকটি অর্থঋণ মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এসব মামলায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!