সরকারি প্লট আত্মসাৎ—গৃহায়ণের ২ কর্মচারীসহ ৪ জনের জেল

জালিয়াতি করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তিনটি প্লট আত্মাসাৎ মামলায় চার আসামিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মারা যাওয়া খলিলুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনসি আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন— জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার কাঞ্চন আলী হাওলাদার, এমএলএসএস আবুল কাশেম, জাল দলিলে প্লট মালিক নাসিম ইকবাল হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন। ইকবাল হোসেন চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা। সাজ্জাদ নগরের ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : জমি দখল থেকে অর্থ আত্মসাৎ—চেয়ারম্যান কাজলের সর্বাঙ্গে দাগ

এ বিষয়ে দুদক পিপি অ্যাড. মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, মামলায় চার আসামিকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে মামলায় পাঁচ আসামি থাকলেও খলিলুর রহমান নামে একজন মারা যাওয়া তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভুয়া বরাদ্দ আদেশের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে হালিশহর হাউজিং এস্টেটের জি ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৯ নম্বর প্লটের ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা জমির জাল দলিল করেন খলিলুর রহমান। একইভাবে সাজ্জাদ হোসেন জি ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৬ নম্বর প্লটের ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা জমির জাল দলিল, নাসিম ইকবাল হোসেন জি ব্লকের ৪৭ নম্বর প্লট ৩ দশমিক ৬৫ কাঠার তিনটি প্লটের মোট ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা জমি আত্মসাতের করেন। এ ঘটনায় মামলা করে দুদক। তিনটি প্লটের তৎকালীন মূল্য ছিল ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। ২০০২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা হয়।

মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, ৪২০ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, ৪৬৭ ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৪৬৮ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪৭১ ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!