শিশু ছাত্রদের বলাৎকার করাই ছিল মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিনের ‘নেশা’

তিন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে আল আমিন (২২) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইপিজেড নূরানী তালিমুল কুরআন হাফিজুল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী আলী হোসেন ওরফে ফাহিমের মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাগেরহাট জেলার মংলা থানার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : ৫ বছরের শিশুকে বলাৎকার করল ৩ পাষণ্ড, এরপর ভিডিও দিল ফেসবুকে

ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনের বয়স ৮, অন্যজনের ৭। ভুক্তভোগী এক শিশুর মা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমার ছেলে ও আমার মামাত ভাই নূরানী তালিমুল কুরআন হাফিজুল মাদ্রাসায় একসাথে পড়তেন। আমার ছেলে ২৭ পারা কোরআন হেফজ শেষ করেছে। গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) তারা দুজন বাড়িতে আসলে আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে জানান। কেন যাবে না কারণ জানতে চাইলে জিহান আমাদের জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন তাদের জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা করে। একই বিষয়টি মামাত ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলে সেও একই কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আজকে (শনিবার) বিকালে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে প্রথমে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তিনজন শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ইপিজেড থানা পুলিশকে খবর দিলে মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল বাশার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ইপিজেড নূরানী তালিমুল কুরআন হাফিজুল মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে আল আমিন নামে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে ভর্তি করা হয়েছে।

এএইচ/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!