অস্ত্রের ভাণ্ডারসহ র‌্যাবের জালে ১২ জলদস্যু, সবাই ডাকাতি-অপহরণ মামলার আসামি

বঙ্গোপসাগর ও বাঁশখালীতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১২ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র ও বাঁশখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতি করা তিন হাজার ইলিশ মাছ, জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আনোয়ার, লিয়াকত, মনির, আবুল খায়ের, নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান, আমানউল্লাহ।

আরও পড়ুন : দুই সহযোগীসহ র‌্যাবের জালে জলদস্যু জসিম, ৫ শুটারগান উদ্ধার

আজ (শনিবার) বিকাল ৪টায় চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি জলদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে নতুন করে দস্যুতা করছে— এমন অভিযোগ আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে।

লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত সাগর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি সংঘটিত হলে বিষয়টি দিয়ে তদন্ত শুরু করি। পরে তথ্য পায়, জলদস্যু বহনকারী একটি বোট সাগরে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে। এ তথ্যে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গোপসাগরের গভীরে এবং বাঁশখালীতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালায়। অভিযানে ১২ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে সমুদ্রে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বোট, আনুমানিক ৩ হাজার পিস ইলিশ মাছ, বড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা-ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চলাইট, ২টি চার্জলাইট, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০টি মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার ৭শ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ১২ জলদস্যুর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় জলদস্যুতা, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!