কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ওই দুই উপজেলার ৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত সোয়া ১২টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন।
শুক্রবার (২১ মে) সকালে উখিয়া ও টেকনাফের পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন শুরু হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজারের পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প লকডাউন করা হয়েছে। এগুলো হলো- উখিয়ার ২-ডব্লিউ, ৩, ৪, ১৫ এবং টেকনাফের ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়ার ৪টি এবং টেকনাফের ১টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন রোহিঙ্গা। এ পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৭ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৩৯ জন এবং আইসোলেশনে ২১১ জন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে লকডাউন দিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ৫টি ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে ক্যাম্প প্রশাসনসহ রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, লকডাউন ঘোষিত ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দারা নিজেদের ক্যাম্পের বাইরে যাতায়াত করতে পারবে না। চিকিৎসা ও খাদ্যসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক শাখার সমন্বয়ক ডা. তোহা ভূঁইয়া জানান, এক মাস ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনা আক্রান্ত বেড়েই চলছে। মারাও গেছে ৩ জন। গত এক বছরে যে সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে তার প্রায় অর্ধের কাছাকাছি হচ্ছে গত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
বলরাম/আরবি