চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের পর আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গ্রুপের অনুসারীরা।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে ১ নম্বর গেইটে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, আজকের এই আনন্দ মিছিলে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। কেন আনন্দের? আজ আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আনন্দে আত্মহারা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কুলাঙ্গার ও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ চার বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছাত্রলীগ করে সেই ছাত্রলীগের পরিচয় কোথাও দিতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করি। এটা অত্যন্ত গর্বের পরিচয়। সেটা আমরা গর্ব করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতাম, আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী। যখন আমাদের পরিচয়টা দেওয়া হতো আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ করি তখন মানুষ আমাদের ধিক্কার দিতো। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি সেই পরিচয়টাও দিতে পারতাম না।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, ক্যাম্পাস থমথমে—সংঘর্ষের শঙ্কা
রেজাউল হক রুবেলকে কুলাঙ্গার মন্তব্য করে ইলিয়াস বলেন, রেজাউল হক রুবেলের মতো কুলাঙ্গার, যার একটা ওয়ার্ডে নেতা হওয়ার যোগ্যতা নেই। দুর্ভাগ্যবশত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে আমাদেরকে রীতিমত ধর্ষণ করেছিল। আমরা দীর্ঘ চার বছর ঘুমাতে পারিনি। তাই আজকে আমরা আনন্দে আত্মহারা। আমরা সাবেক হয়েছি, দুঃখ নেই। কিন্তু আজকে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আজ আমরা কলঙ্কমুক্ত হয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করার।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইলিয়াস বলেন, আমাদের চট্টল রত্ন ব্যারিস্টার নওফেল ভাই আমাদের নেতা, আমাদের গর্ব ও আদর্শ। দেশের জানমাল রক্ষায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর নির্দেশ পেলে জীবন দিতেও আমরা প্রস্তুত। আজ আমরা সফল হয়েছি, আমাদের নেতা তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশে না গেলে কর্মীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ইলিয়াস।
এক অডিওবার্তায় ইলিয়াস বলেছিলেন, শুক্রবার-শনিবার দুদিনই বন্ধ (সাপ্তাহিক ছুটি)। যদি কারও পরীক্ষা থেকে থাকে, তাহলে সেটা রোববার হবে। আমরা আমাদের সময়ে পরীক্ষা না দিয়ে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। তোমরা দীর্ঘদিন ধরে হলে থাকছ, তোমাদের থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তোমাদের ফরম ফিলআপের জন্য টাকা না থাকলে সেটাও আমি দিই। আমরা বৃহস্পতিবার রাতে রওনা দেব। আবার শুক্রবার রাতেই ফিরব। শনিবার পড়ালেখা করে তোমরা রোববার পরীক্ষা দিতে যাবা।
তিনি বলেন, যারা এএফ রহমান ও আলাওল হলে আছো, সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। তোমাদেরকে অবশ্যই ঢাকা যেতে হবে। ঢাকা যাওয়ার, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমি করব। তাই বিষয়টা খুব বেশি জরুরি। আর যারা যাবে না, তারা নিজ দায়িত্বে হল ছেড়ে বাইরে চলে যাও।
এএইচ/আরবি