যে কারণে এইচএসসিতে পিছিয়ে পড়ল চট্টগ্রাম

পাসের হারে পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। মূলত নগর আর গ্রামে পাসের হারে বড় ফারাকই পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ। চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় নগরে এবার ৮৫ দশমিক ১৯ পাসের পরও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মোট পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫। কারণ চট্টগ্রাম জেলায় যে পাসের হার মাত্র ৬৮ দশমিক ৫৬! কক্সবাজার জেলায় পাসের এ হার ৭০ দশমিক ৩৮। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় পাসের হার ঘুরছে ৬৪ থেকে ৬৮-তে।

গত বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে চলতি বছর পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাস করেছেন ৭৫ হাজার ৯০৩ জন। এবার পরীক্ষার্থী বাড়ায় বেড়েছে পাস। গতবছর পাস করেছিল ৭৪ হাজার ৩২ জন৷ কিন্তু গতবারের তুলনায় এবার কমেছে পাসের হার।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ছেলেদের পেছনে ফেলেছে মেয়েরা, পাসের হার ৭৩.৮১

জানা গেছে, চলতি বছরের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৫, মানবিকে ৬৫ দশমিক ২২, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম নগরে পাসের হার ৮৫ দশমিক ১৯। নগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৬। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ ।

এবারের পরীক্ষায় উপস্থিত ছাত্রীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬৩৯, ছাত্র ৪৭ হাজার ৩১০। ছাত্রীর পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩। গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ। এবার ছাত্র পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।

এবার পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১৫ হাজার ৯১২ জন শিক্ষার্থী। এক বিষয়ে অকৃতকার্যের হার ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

চলতি বছর চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করা মোট কলেজ ১২টি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১৬।

অন্যদিকে প্রতিবারের মতো এবারও ফলাফলে পিছিয়ে রয়েছে তিন পার্বত্য জেলা। সবচেয়ে পিছিয়ে রাঙামাটি জেলা। রাঙামাটিতে এবছর পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছর ছিল ৭৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ৩ কলেজে কেউই পাস করেনি!

খাগড়াছড়িতে গতবার পাসের ছিল ৬৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৭২ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া বান্দরবানে চলতি বছর পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮১ দশমিক ২০ শতাংশ৷

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এএমএম মুজিবুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এবার পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। আমাদের পাসের হার ও জিপিএ কিছুটা এবার কমলেও সার্বিক ফলাফল ভালো।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় দক্ষ শিক্ষকের পাশাপাশি পরিবেশগত কারণে ফলাফল কিছুটা খারাপ হয় সবসময়। তবে আমাদের চেষ্টা চলছে এবং সরকার প্রতিনিয়ত শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!