মেয়র রেজাউলের গায়ে গুলি, বালু তোলার দ্বন্দ্ব গড়াল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে

মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ১০টায় মুহুরি সেচ প্রকল্প সংলগ্ন ফেনী নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন— বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন (৪৮), হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা অশোক সেন (৪২) এবং ওচমানপুর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী সাইদ খান দুখু। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার উপজেলা মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

জানা গেছে, ফেনী নদীর মিরসরাই অংশে ইজারাবিহীন বালু তোলাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের সঙ্গে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকনের দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র খোকনের লোকজন বালু তুলতে গেলে তাদের দুটি বোট আটক করে রাখে ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপনের লোকজন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি সমাধান করতে গেলে রিপনের অজ্ঞাত ৮/১০ জন অস্ত্রধারী লোক গুলি করলে মেয়র খোকনসহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।

জানতে চাইলে ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন বলেন, আমি এখানকার বৈধ ইজারাদার। আমার লোকজন গুলি করার প্রশ্নই উঠে না। বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকন অবৈধভাবে এখানে বালু তুলতে এসে স্থানীয় জনগণের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তারা নিজেদের গুলিতে আহত হয়ে দায়ভার আমার ওপর চাপিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, রেজাউল করিম খোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি পেটে এবং শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনের মধ্যে অশোক সেনকেও চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সাইদ খান দুখু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি।

আজিজ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!