মিরসরাইয়ের সব স্কুলের এক হওয়ার ১ দিন

পাঁচ শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর কোলাহলে মুখর মহামায়া ইকোপার্ক। তাঁরা সবাই মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের বন্ধু। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) তাঁরা সবাই এসেছিল পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে।

এর আগে ‘আমরা ৯৩ ব্যাচ মিরসরাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়। সেখানে যুক্ত হয় ঢাকা-চট্টগ্রামের বন্ধুরা।

সেদিনের আয়োজনে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে পেয়ে মুঠোফোনে সেলফি, পুরনো স্মৃতির গল্প, আরও কত যে আলোচনা। সবমিলিয়ে এক প্রাণবন্ত আড্ডা ছিল মহামায়ার লেকজুড়ে। সবার গায়ে ছিল অভিন্ন টি-শার্ট, হাতে হাতে ছিল গিফট ব্যাগ।

পরিচিতি পর্ব, নৌকা ভ্রমণ, দুপুরের খাবার, নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনভর ছিল নানা আয়োজন।

আরও পড়ুন : মিরসরাইয়ে এসএসসিতে সেরা জেবি স্কুল, দাখিলে বড়তাকিয়া মাদরাসা

এসএসসি-৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন নানা পেশায় যুক্ত। এদের মধ্যে কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ আইনজীবী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার, আবার কেউ ব্যবসায়ী ও প্রবাসী। কর্মজীবনে পদ-পদবি ভিন্ন হলে সেদিন সবার পরিচয় ছিল একটাই- ‘আমরা বন্ধু’।

অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিল এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের বন্ধুরা। এদের মধ্যে ছিলেন রাশেদ খান চৌধুরী, জামশেদ আলম, এম সাইফুল্লাহ দিদার, আজিম উদ্দিন, মহসিন চৌধুরী নয়ন, কংকন দে, এএসএম সেলিম, সিরাজুল ইসলাম সুমন, মীর হোসেন মামুন, বিপুল দাশ, মো. শামীম, মো. মহিউদ্দিন ও আনজানা ডালিয়া।

আয়োজকরা জানান, ১৯৯৩ ব্যাচের লক্ষ্য সাংগঠনিক রূপের মাধ্যমে সকল বন্ধুদের একত্রিত করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বন্ধুদের সহায়তা, মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা, বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকা এবং রাষ্ট্রীয় যেকোনো দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে গান পরিবেশন করেন বাউল সম্রাট ফকির সাহাব উদ্দিন ও তাঁর দল।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!