মিতু হত্যা : এসপি বাবুলসহ আসামির কাঠগড়ায় ৭

চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৩ মার্চ) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।

আজ বেলা ১২টার দিকে মামলার আসামি বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমসহ জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলাকে আদালতে হাজির করা হয়।

জানতে চাইলে বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, মামলা থেকে বাবুল আক্তারের অব্যাহতিসহ তিনটি আবেদন করেছি। কিন্তু অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন :  মিতু খুন : এসপি বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ মার্চ

তিনি আরও বলেন, এছাড়া বাবুল আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আবেদন এবং ফেনী কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

ইতিমধ্যে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় বাবুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তাঁর আইনজীবী।

এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার ও স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ধারীদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পরে বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাঁর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় পিবিআই। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই।

প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর বাবুল আক্তার নারাজি আবেদন করেন। এরপর একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত।

এরপর দুই মামলার তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।

অন্যদিকে একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!