মাথায় মাথা লাগিয়ে ফিসফিস—মুহূর্তেই চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী

আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতার ১১৪তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শাহজাহাল বলী। এবারের ফাইনাল খেলায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলীকে পরাজিত করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নগরের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘির মাঠে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ বলীখেলা। বলীখেলা দেখতে বিপুলসংখ্যক দর্শক সমাগম ঘটে মাঠের চারপাশে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বলীখেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

এদিকে ফাইনাল খেলা শুরুর মুহূর্তে মাথার সঙ্গে মাথা লাগিয়ে জীবন বলী ফিসফিস করে শাহজালাল বলিকে বলেন, ‘আমি অসুস্থ, তোমাকে পয়েন্ট দিয়ে দিব। উত্তরে শাহজালাল বলেন, ‘ফাইট করে যাও, যে জিতবে সেই হবে চ্যাম্পিয়ন।’

এরপর এক মিনিটেরও কম সময়ে জীবন বলীকে কুপোকাত করেন শাহজালাল বলী।

আরও পড়ুন: জব্বারের বলীখেলার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী

এর আগে দ্বিতীয় রানারআপ খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমার সঙ্গে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের খেলায় প্রায় সাড়ে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই করেন জীবন। সেমিফাইনাল খেলা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে ফাইনালে খেলতে গিয়ে পরাজয় হয় তার।

টান টান উত্তেজনার প্রথম সেমিফাইনালের পর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা হয় শাহজালাল বলীর সঙ্গে আব্দুর নুর বলীর। মাত্র এক মিনিট ২৬ সেকেন্ডে নুরকে পরাজিত করেন শাহজালাল।

বলীখেলায় তৃতীয় সৃজন চাকমা বলী এবং চতুর্থ হন আনোয়ারার আব্দুর নুর বলী।

খেলা শেষে মঞ্চে গিয়ে অতিথিদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকার প্রাইজমানি ও ট্রফি নিয়ে দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানান শাহজালাল বলী।

এসময় জানতে চাইলে শাহাজালাল বলী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খেলা শুরুর আগে জীবন জানিয়েছিল সে অসুস্থ। তবে আমি বলেছিলাম লড়াই করতে। কিন্তু এক মিনিটেরও কম সময়ে আমি জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।

তিনি বলেন, গতবারের ১১৩তম আসরে আমার পিঠ না লাগলেও আয়োজকরা জীবনকে জয়ী ঘোষণা করেন। আমিও তা মেনে নিয়েছিলাম। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তৃতীয়বারের মতো জয়ের মালা পড়লাম জব্বারের বলীখেলার ১১৪ তম আসরে।

এদিকে সকাল থেকেই রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় বলীদের। এদের মধ্যে একশরও বেশি বলী নাম অন্তর্ভুক্ত করলেও বাছাইয়ে বাদ পড়েন ৪০ জন। চূড়ান্তভাবে ৬০ জন মূল পর্বে খেলার সুযোগ পান।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!