মানি লন্ডারিং মামলায় ব্যবসায়ীর ৫ বছর জেল, ৯ কোটি টাকা দণ্ড

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) মামলায় মো. লিয়াকত আলীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৯ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লিয়াকত আলী চকরিয়া এসএম চর কাকড়া এলাকার মো. আবুল খায়েরের ছেলে।

এ বিষয়ে দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৫ টাকা স্থানান্তর করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. লিয়াকত আলীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৯ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দূদক সজেকা চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মো. লিয়াকত আলী ও মো. মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন : দুদকের মামলায় জেলে ঢুকেই কপাল খুলল সার্ভেয়ারের, বেরিয়েই পদোন্নতি

২০১৪ সালের ১৮ মার্চ সহকারী পরিচালক কাজী মো. মাহবুবুর রহমানকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ায় একই বছরের ২৩ নভেম্বর মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক অজয় কুমার সাহা।

এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মো. লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে অপর অভিযুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকরিয়া শাখার সাবেক এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. মোজাম্মেল আলম চৌধুরীর অব্যাহতি চাওয়া হয়। পরে ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চরকাকড়া বাজারের মদিনা সবজি বিতান এবং মা ইলেকট্রনিক্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকরিয়া শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেন লিয়াকত আলী। এরপর পরের মাসের ৮ মার্চ থেকে ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টে ৯ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৫ টাকা জমা করেন এবং উত্তোলন করেন ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯২ টাকা।

২০১২ সালের ২৩ মার্চ প্রতিষ্ঠান দুটির ম্যানেজার মুজিবুল হক চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে হুন্ডির টাকা সন্দেহে চকরিয়া থানায় আটক হন।

এরপর ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!