বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাস করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘ ফুড সামিটে শেখ হাসিনার ৫ পরামর্শ

জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে (ভার্চ্যুয়াল) বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতাদের সামনে পাঁচটি সুপারিশও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে (ভার্চ্যুয়াল) এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ১০ বিলিয়ন হবে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরও খাদ্য উৎপাদন করা অপরিহার্য। টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্ধিত তহবিলের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহারের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি আমরা সবার জন্য মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছি। একটি বৈশ্বিক জোট ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা সব নাগরিকের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।

টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে প্রযুক্তি শেয়ারিংসহ জলবায়ুজনিত চরম ইভেন্টগুলোর সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল ছাড়েরও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মহামারি পরবর্তী পুরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এই অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ১৯ মাস পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে আমাদের জাতীয় নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরকে একটি অন্তর্ভুক্ত হাতিয়ার হিসেবে সমন্বিত করেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন চরম আবহাওয়া-জনিত দুর্যোগ এই গতিবেগকে প্রভাবিত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বৈশ্বিক নেতা হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে।

এসি

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!