বিস্ফোরক মামলায় জেএমবির চট্টগ্রাম কমান্ডারসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারে করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এ বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- জেএমবি চট্টগ্রামের কমান্ডার দিনাজপুরের সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ হোসাইন প্রকাশ মামুন (২০), দলটির সদস্য গাইবান্ধার তুলশীপাড়ার মৃত আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার প্রকাশ ফুয়াদ (২৬), ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন (২৪) ও কর্ণফুলী থানার ইছানগরের আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকন (৩৫)।

আরও পড়ুন: রিমান্ডে জেএমবির সামরিক কমান্ডার সেলিম

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিলমিলের সামনে থেকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়। মামলায় জেএমবির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আকবরশাহ থানার এসআই বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোলাইমানকে জেরা করা হয়েছে। আদালতে ৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৩ মার্চ আসামিদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নগরের আকবরশাহ থানার এন আর স্টিলমিলের সামনে ওয়াসিমের ভাড়া ঘরে জেএমবির গোপন বৈঠকে থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় অন্য এক আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এরশাদকে আসামি ও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩) ও বিস্ফোরক উপাদানবলী (সংশোধন) আইন ২০০২ ধারায় মামলা করেন।

অন্যদিকে ২০১৫ সালে নগরের কর্ণফুলী থানায় হওয়া ভিন্ন তিনটি মামলায় বুলবুল আহমেদ সরকার, মো. সুজন ও মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক অভিযোগ এনে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!