‘বিপজ্জনক চট্টগ্রাম’—যেসব স্পটে বেশি ঝুঁকি ডেঙ্গুরোগের

চট্টগ্রামের ১৫টি স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। নগরের বিভিন্ন এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভা।

জানা যায়, চট্টগ্রামের ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। এরমধ্যে নগরের ১৫টি স্পটে মিলে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা।

গবেষক দলের আহ্বায়ক ছিলেন চবি প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক রাসেল (সদস্য সচিব), ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচএম আবদুল্লাহ আল মাসুদ।

এ বিষয়ে গবেষক দলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, চট্টগ্রামের ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

যে ১৫ স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা

পশ্চিম বাকলিয়ার চাক্তাই প্রাইমারি স্কুল, চকবাজার ডিসি রোডের তুষার কলোনি ও বাদশা মিয়া সওদাগরের বাড়ি, কল্পলোক আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়ক (ই-৯৬ এর পাশে), চান্দগাঁওয়ের ফরিদারপাড়া ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার মসজিদের আশপাশ, সদরঘাট পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার মাঝিরঘাট সড়ক, সদরঘাট থানার কাস্টম রেলওয়ে রেলওয়ে কলোনি, হালিশহর এ-ব্লক, ২৬ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার ফইল্যাতলী বাজার, দক্ষিণ কাট্টলী সাগরিকার রূপালী আবাসিক এলাকা, সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম রোডের জেলেপাড়া, পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেটের দুলালাবাদ, সেগুনবাগান এলাকার ১৩নং রেলওয়ে কলোনি এবং পাহাড়তলী আমবাগান এলাকার বাস্তুহারা কলোনি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!