বাবার নামে নিজ অর্থায়নেই মানবিক সহায়তা দিচ্ছেন ছেলে বাপ্পি সিকদার

রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকার পলোয়ানপাড়ার শিকদার বাড়ির রেজাউল করিম শিকদারের ছেলে বাপ্পি শিকদার। বাবার নামেই নিজ অর্থায়নে তিনি গড়ে তুলেছেন রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশন। এটি একটি মানবিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০১৯ সালের ৩ জুন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

সংগঠনের মূল লক্ষ্য— সমাজ ও রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অসহায়-দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি মেধাবী অথচ গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পড়ালেখার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ। একইসঙ্গে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা। হালে পরিবেশ রক্ষায়ও কাজ করছে এ সংগঠনটি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন উপজেলায় শুরু করেছে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ মে নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে শতাধিক ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছ রোপণ করা হয় সংগঠনের পক্ষে। ২৮ মে রাউজানের পশ্চিম গুজরা কালচারাল পার্কে খুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই শতাধিক গাছ রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

৫ জুন নগরের বায়েজিদ থানাধীন লিংক রোড়ে পাহাড়ের পাদদেশে লেখক ও গবেষক ড. মু. মাসুম চৌধুরীর নেতৃত্বে শতাধিক গাছ রোপণ করা হয়। ১৩ জুন বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় কলেজে এক হাজার গাছ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বর্তমানে আরো ৫০ হাজার গাছ রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

এর আগে রমজান মাসজুড়ে নগরের অলিগলিতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে সেহেরি বিতরণ করা হয়। বিআরটিসি এলাকায় অপরাজয় বাংলাদেশ আদ্রিতা শেল্টার হোমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের উপহার দেওয়া হয়।

এছাড়া হাটহাজারীতে কাদেরিয়া শাহ আমিনিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাউজানের সুলতানপুর মুকিম বাড়ী এতিমখানা এবং আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের শাহ মালেকিয়া মডেল হেফজখানার শিক্ষার্থীদের শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরণ করা হয়।

রেজাউল করিম ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি শিকদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো— সমাজ ও রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছি। জনকল্যাণমুখী কাজে এ ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, টানা তিন বছরের পথচলায় চট্টগ্রামের পরিবেশর ক্ষার্থে বিপুল পরিমাণ গাছের চারা লাগানো হয়েছে। শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করা হয়েছে। আরো বিভিন্ন কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

রেজাউল করিম ফাউন্ডেশনের সঙ্গে লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিরা জড়িত আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!