বন্ধুর স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় শেখ রাসেল (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরের টাইগারপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শেখ রাসেল ডবলমুরিং থানাধীন মতিয়ারপুল এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার ।
আরও পড়ুন: গোপনে গোসলের ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল, ধরা খেল সেই যুবক
তিনি বলেন, ভিকটিম সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি নগরের ডবলমুরিং এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ২০১৭ সালে দেশে বেড়াতে এলে ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে শেখ রাসেলের বন্ধুত্ব হয়। এসময় রাসেল তার মায়ের চিকিৎসার কথা বলে ভিকটিমের স্বামীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। কিছুদিন পর স্বামী আবার বিদেশে চলে যায় এবং ঋণের টাকা প্রতি মাসে কিছু কিছু করে স্ত্রীকে দিতে বলেন। এ সুবাদে রাসেল প্রায়সময় ভিকটিমের বাড়ি আসা-যাওয়া করতেন এবং তাদের সংসারের খোঁজ-খবর রাখতেন।
মো. নূরুল আবছার বলেন, রাসেল ভিকটিমের অজান্তে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ছবি এবং ভিডিও রেকর্ড করে রাখেন। পরে রাসেল ভিকটিমকে এসব ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। তার কথায় রাজি না হলে ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম গত ১৫ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এসময় তার মোবাইল থেকে ভিকটিমের ছবি ও ভিডিও ডিলেট করে দেয় এবং এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে না করার শর্তে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর রাসেল আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও তার আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সালের ২৩, ২৫, ২৬, ২৯ ধারায় মামলা করেন। মামলায় আদালত আসামি শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে শনিবার টাইগারপাস এলাকা তেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।