মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করতেই বইমেলার আয়োজন : মেয়র রেজাউল করিম

চট্টগ্রামে উদ্বোধন হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিজেকেএস জিমনেসিয়াম মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান অতিথির হিসেবে বইমেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

এ সময় মেয়র বলেন, মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করতে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বইমেলার প্রতিটি বই হয়ে উঠুক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অস্ত্র। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে চাই শিক্ষার উন্নয়ন। আর ভালো মানের বই ছাড়া ভালো শিক্ষাব্যবস্থা গড়া সম্ভব নয়। এই বইমেলা চট্টগ্রামের হাজারো বইপ্রেমীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। যা আমাদের একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সাহস যোগাবে।

সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বই বর্তমানের সঙ্গে অতীত আর ভবিষ্যতের মধ্যে ব্রিজের কাজ করে। ভাষার মাসের এই বইমেলার আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

আরও পড়ুন: বেড়েছে স্টল—৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলা শুরু চট্টগ্রামে

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু), কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মো. আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান ও রুমকি সেনগুপ্ত।

আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মু. আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ এবং সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী।

জানা যায়, প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলার অন্যান্য অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে- নজরুল দিবস, মাতৃভাষা দিবস-২১ শে ফেব্রুয়ারি, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!