নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের সিজেকেএস জিমনেসিয়াম মাঠে আগামী বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ২১ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৩শ বর্গফুটের সুবিশাল আয়তনের এ মাঠজুড়ে স্টল থাকবে ১৪০টি।
গতবার স্টল ছিল ১২০টি। এবার এর চেয়ে ২০টি স্টল বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৪০টি স্টলের মধ্যে ৩২টি ডাবল স্টল এবং ৭৬টি সিঙ্গেল স্টল। ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ মোট ১০৮টি প্রকাশনা সংস্থা এবার মেলায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে৷
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ও সাহিত্য–সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের অংশগ্রহণে আগামী বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্য মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মাসজুড়ে প্রতিযোগিতা—উৎসবে বর্ণিল বইমেলা শুরু রোববার, জিমনেশিয়াম মাঠ জমজমাট
মেয়র বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেকেই আজকাল মোবাইল ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সময়, অর্থ, স্বাস্থ্য সবই শেষ করছে এসবের পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করতে হবে৷
তিনি বলেন, আশা করছি এবারের বইমেলার কলেবর যেমন বাড়বে, তেমনি লেখক, পাঠক-প্রকাশকদেরও উৎসাহিত করবে। সৃজনশীল, মননশীল, বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে এই মেলা বড় ভূমিকা রাখবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে এবারও থাকবে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্ণার৷ এছাড়া থাকবে লেখক আড্ডাসহ নারী কর্ণার এবং ওয়াইফাই জোন। মেলা মঞ্চে প্রতিদিন নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা হবে।
তিনি বলেন, মেলার অনুষ্ঠানমালায় থাকবে- নজরুল দিবস, মাতৃভাষা দিবস, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাঁটগা উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন মঞ্চে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র–নজরুল–লোকসঙ্গীত, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা ও দেশের গানের আয়োজন থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণ থাকবে সিসিটিভির আওতায়। এছাড়া মেলায় থাকবে নতুন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন মঞ্চ ও সেলফি কর্ণার। ধুলোবালিমুক্ত পরিবেশে চলাচল নিশ্চিতে মেলা প্রাঙ্গণে ইট বসানো হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বই মেলাকে সাজিয়ে তুলতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলের নির্মাণকাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।