নগরের টেরিবাজারের সিটি টাওয়ারের একটি দোকানে গোপনে অস্ত্র রেখে মালিককে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হলেন দোকানের কর্মচারীসহ ৩ জন।
শনিবার (২ জুলাই) মধ্যরাতে দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- নগরের বাকলিয়া থানার বড়মিয়া মসজিদ এলাকার মৃত অজি উল্লাহর ছেলে আব্দুল শুক্কুর ওরফে শুক্কুর মিস্ত্রী (৪০), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার বাতানিয়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে ও দোকান কর্মচারী মো. ইউসুফ সৌরভ (১৯) এবং নগরের চকবাজার থানার চাঁন মিয়া মুন্সি লেইন এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে মোজাম্মেল হক (৪২)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদে র্যাব-৭ জানতে পারে নগরের টেরিবাজার সিটি টাওয়ারের ল্যান্ডমার্ক টেইলার্স নামের একটি দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ মাদক মজুদ রাখা হয়েছে। এমন সংবাদের শনিবার (২ জুলাই) মধ্যরাতে দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় মাদক পাওয়া না গেলেও দোকানের কাপড়ের থানের পেছনে কাপড় মোড়ানো অবস্থায় একটি শুটারগান উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মুখ খুললেন হাসিনা, ফেঁসে গেল দালাল জানে আলম
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, টেরিবাজার এলাকার ল্যান্ডমার্ক টেইলার্সে মাদক মজুদের খবরে অভিযানে গিয়ে মাদকের পরিবর্তে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দোকান মালিক মো. এয়াকুব আলীকে ফাঁসানোর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এছাড়া আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়টি স্বীকার করেছে।
আটকদের বরাতে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, দোকানের মালিক মো. এয়াকুব আলীর সঙ্গে তাদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। তাই হয়রানির উদ্দেশ্যে আটক আব্দুল শুক্কুর ও মোজাম্মেল হকের সহায়তায় কর্মচারী মো. ইউসুফ সৌরভ কৌশলে আগ্নেয়াস্ত্র দোকানের ভেতর রাখে। পরে তারা দোকানে মাদক মজুদ আছে বলে র্যাবকে খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে চক্রান্তের বিষয়টি জানতে পেরে সংবাদদাতা আব্দুল শুক্কুর ওরফে শুক্কুর মিস্ত্রী, মোজাম্মেল হক এবং দোকানের কর্মচারী মো. ইউসুফ সৌরভকে আটক করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। আটকদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
জেএন/এসআর