নগরের সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার আদেশ পালন করতে গিয়ে নবম শ্রেণির (দিবা শাখা) ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টায় লালদীঘি মাঠের টেরাকোটা ম্যুরালের খুলে পড়া কাচের গ্লাস আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় মন্তব্য না করে নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ আকতার।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টায় অ্যাসেম্বলি শেষে দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে যেতে বলেন। যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবান শিক্ষার্থীর ১০ জনকে লালদীঘির মাঠে গিয়ে টেরাকোটা ম্যুরালের খুলে পড়া কাচের গ্লাসগুলো স্কুলে নিয়ে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ আকতার।
এরপর শিক্ষার্থীরা পড়ে যাওয়া ভারী কাচের গ্লাসগুলো কাঁধে করে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আসে। পরে গ্লাসগুলো রাখার সময় হঠাৎ একটি ভেঙে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের গায়ের ওপর পড়ে। এসময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে যায়। পরে স্কুলের একটি কক্ষে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : সাঁঝবেলায় ১ ঘণ্টার সুযোগে শিক্ষিকার সবকিছু লুটে নিল চোর
এদের মধ্যে আহত তিন শিক্ষার্থীর ক্ষত বেশি হওয়ায় তাদের সেলাই, অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের কেক, কোল্ডড্রিঙ্কস ও ডাব খাওয়ানো হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে দিয়ে পরিবারের লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে কিছু না জানাতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ আকতার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমি খুবই অসুস্থ। রোববারে আসেন এ বিষয়ে অন্য শিক্ষকদের সামনে জানাব।
যোগাযোগ করা হলে স্কুলের দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, ১০ জন শিক্ষার্থীসহ পিয়ন ও দুজন শিক্ষককে লালদীঘি মাঠ থেকে কিছু কাচের গ্লাস আনতে পাঠানো হয়েছিল। পরে স্কুলের ভেতরে কাচের গ্লাস ভেঙে তিন শিক্ষার্থী সামান্য আঘাত পায়। পরে নাইম স্যার ও আব্দুল স্যারের মাধ্যমে তাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাদের কারো শরীরে সেলাই হয়নি।
এসব কাজ শ্রমিকদের, নাকি শিক্ষার্থীদের জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাচগুলো বেশি ভারি হবে সেটি আমরা বুঝতে পারিনি। তবে এটি এমন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরএস/আরবি