মধ্যরাতে বন্দরে পুলিশকে লাশ করে যুবক পালিয়ে গিয়েছিল ফেনীতে

নগরে পুলিশ কনস্টেবল নুরে আলমকে (৪৩) লাশ করে দেওয়ার ঘটনায় পলাতক হেলপার সেলিমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরের বন্দর থানা এলাকার সিপিআর গেইট থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রেলারটি চালাচ্ছিলেন হেলপার মো. সেলিম। আসল চালক হলেন গ্রেপ্তার হওয়া মো. শামীম খাঁন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানা পুলিশ।

নিহত নুরে আলম ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন : রাউজানে ২ ভাইকে লাশ করে দেওয়া চালকের ‘লাইসেন্স’ নেই

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বন্দর থানা এলাকার সিপিআর গেইট থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন নুরে আলম। এদিন রাত সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা কনটেইনারবাহী একটি ট্রেলার (রেজি: নম্বর- চট্টমেট্রো ঢ ৮১-২৩৬০) হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নুরে আলমকে চাপা দিলে তিনি গাড়ির নিচে আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। এরপর আনুমানিক রাত পৌনে ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে স্থানীয়রা ঘাতক ট্রেলারটি আটক করলেও চালক সেলিম পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ট্রেলারটি জব্দ করে।

এ ঘটনায় মামলার পর বন্দর থানার ২ নম্বর মাইলের মাথা আব্দুল জলিল সড়কের ‘আরিফ ম্যানশন’-এর সামনে থেকে শামীম খাঁনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানা এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন নুরে আলম। বুধবার রাতে ডিউটিকালীন সময়ে একটি পণ্যবাহী ট্রেলার তাকে চাপা দেয়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হেলপার মো. সেলিম ও চালক মো. শামীম খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!