পুলিশকে রক্তাক্ত করে অস্ত্র ছিনতাই—২ হামলাকারী লুকিয়ে ছিল পতেঙ্গায়

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের পতেঙ্গা থানার ডেইলপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চকরিয়া থানার হাফালিয়াকাটা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ও নুরুল সওদাগরের ছেলে খাইরুল বশর ওরফে পুতু।

শনিবার (৬ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নুরুল আবছার।

আরও পড়ুন: ওসিসহ ৩ পুলিশকে রক্তাক্ত করেও পালাতে পারেনি শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল

র‌্যাব জানায়, গত ২৫ মে রাত ১টায় চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম পেকুয়া-বড়ইতলী রোডের শাপলা যুব সংঘ হাফালিয়াকাটা এলাকা থেকে রাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রাকিবের আত্মীয়-স্বজনরা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তখন রাকিব তার হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে মাসুম নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করেন। রাকিবের সহযোগীরা বাকি পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত এসআই শামীম, কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম এবং মো. মামুনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।

পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় রাকিবকে ছিনতাই করা অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেননি।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় পতেঙ্গার ডেইলপাড়া এলাকা থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি খাইরুল বশর ওরফে পুতু এবং সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!