বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে বাসে নারীকে ধর্ষণ করল চালক—হেলপার—সুপারভাইজার

টানা বৃষ্টিতে নগরের বেশিরভাগ এলাকা ছিল ফাঁকা। আর এই সুযোগে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে ধর্ষণ করেছে চালক, হেলপারসহ চারজন। পরে ভিকটিমের অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে বাসসহ একজনকে আটক করে পুলিশ। এরপর আটক করা হয় আরও দুজনকে।

রোববার (১৯ জুন) দুপুরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি অক্সিজেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার বানীগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বাসচালক নুরুল আলম (৩০) , ভুজপুর থানার নতুনপাড়ার মোখলেছুর রহমানের ছেলে হেলপার মো. রবিউল (২৩) এবং একই থানার নারায়ণহাটের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহজাহান (২২)।

আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ করে খাটতে হবে জেল, দিতে হবে জরিমানা

বায়েজিদ বোস্তামি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নগরের ডবলমুরিং এলাকায় ভিকটিম নারী ও তার স্বামী সঙ্গে একটি দোকানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তারা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে পরে ওই ঘটনায় আইনি পরামর্শ নিতে চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবী সহকারী চাচার বাসায় যান।

এরপর রোববার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে নগরের বায়েজিদের ছিন্নমূল রাস্তার মাথা এলাকার সেই চাচার বাসা থেকে রিকশায় অক্সিজেন মোড়ে আসেন ওই নারী। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে অক্সিজেন মোড়ে যাত্রী ছাউনিতে তিনি অপেক্ষা করছিলেন। এসময় কয়েকজন যুবক এসে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। তিনি কোর্ট বিল্ডিং যাবেন বললে তখন রেলবিট ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা বাসে (চট্টমেট্রো- জ- ১১-০১৬৯) তাকে উঠতে বলেন।

ঝুমবৃষ্টিতে বাসে উঠার পর রেল লাইনের পাশে নিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে সহকারী রবিউল ও সুপারভাইজার মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে শাহজাহানের সহযোগিতায় চালক নুরুল আলমও ধর্ষণ করে। এরপর বৃষ্টি কমলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ধর্ষণচেষ্টা—৫ বছর পালিয়ে থেকে ধরা খেল ৫ বছরের সাজার আসামি

ওসি বলেন, ঘটনার পর ভিকটিম নারী বাস থেকে নেমে অক্সিজেন মোড়ের ট্রাফিক বক্সে অভিযোগ করলে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা দ্রুত বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শাহজাহানসহ বাসটি আটক করেন। এরপর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ভিকটিমের অভিযোগের পর হাটহাজারী থেকে নুরুল আলম ও ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাসের সুপারভাইজার পলাতক আছেন।

ওসি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা যে বাসে ঘটেছে সেটি অক্সিজেন-নাজিরহাট রুটের। ঘটনার সময় নাজিরহাট যেতে যাত্রীর অপেক্ষায় বাসটি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল। সুযোগ বুঝে চালক-সহকারীরা মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর তারা বাস নিয়ে আবারও স্ট্যান্ডে আসে। এসময় শাহজাহানকে আটক করতে দেখে চালক নুরুল আলম, সহকারী রবিউল ও সুপারভাইজার অন্য একটি বাসে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম নারী থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!