জামালখানে দেড় কেজির মুরগি স্কেলে উঠলেই ৩ কেজি, ধরলেন কাউন্সিলর সুমন

নগরের জামালখানে ওজনে কারচুপি করে ধরা খেল ভাসমান এক মুরগী বিক্রেতা। পরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বুধবার (১৫ জুন) ফেসবুকে এ ঘটনার একটি ভিডিও আপলোড করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অসংখ্য মানুষ কমেন্ট করে জনপ্রতিনিধির এমন কাজের প্রশংসা করেন।

আরও পড়ুন: জামালখানে ‘সম্প্রীতি’র কনসার্ট, চসিক কাউন্সিলরের কাণ্ডে সমালোচনার ঝড়

কমেন্টে রাসেল হোসেন নামে একজন লিখেন, ‘ভাই আপনার মত যদি সকল জনপ্রতিনিধিরা এমন উদ্যোগ নিতেন তাহলে দেশে এত চুরি-চামারি করার সাহস পেত না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।’

জানা গেছে, জামালখান রোডের হাইওয়ে সুইটসের বিপরীতে ফুটপাতে ডিজিটাল স্কেলের সঙ্গে দড়ি বেঁধে কৌশলে ওজন বাড়িয়ে মুরগি বিক্রি করছিলেন ভাসমান বিক্রেতা মো. ইয়াছিন(২৫)। খবর পেয়ে ছুটে আসেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। পরে ওজনে কারচুপি হাতেনাতে ধরে তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেন।

ভিডিওটিতে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন মুরগি বিক্রেতা ইয়াছিন কারচুপির মাধ্যমে কীভাবে ওজন বাড়িয়ে বিক্রি করেন এর বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়া ওজন পরিমাপের সময় ডিজিটাল স্কেলের সঙ্গে দড়ি বেঁধে কীভাবে ইচ্ছেমত ওজন বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেটিও তুলে ধরেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কয়েকদিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ আসে। গতকাল (বুধবার) খবর পেয়ে সরেজমিন গিয়ে ওজন কারচুপির বিষয়টি মুরগি বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো আমার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। তবে সেসময় ডিজিটাল স্কেলের সঙ্গে বাঁধা একটি দড়ি কেটে ফেলার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয়। এ নিয়ে আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মুরগি স্কেলে রেখে ওজন করি। তখন মুরগির ওজন হয় ১ কেজি ৬০০ গ্রাম। কিন্তু যখন আমি দড়িটা টেনে ধরলাম তখন দেখলাম মুরগির ওজন স্কেলে ৩/৪ কেজি দেখাচ্ছে। আর এমন অভিনব কৌশল দেখে আমি তো রীতিমত হতবাক। এরকম কারচুপির মাধ্যমে ওজন বাড়িয়ে মুরগি বিক্রি করা অনেক বিক্রেতা নগরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তারে জামালখানে শৈবাল গ্রুপের ছুরিতে ছাত্রলীগ নেতা খুন

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া সাধারণ ক্রেতারা এই অসাধু বিক্রেতার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে আমি থানায় অবহিত করে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদুল কবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কাউন্সিলরের অভিযোগের পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ওই বিক্রেতাকে আদালতে পাঠানো হয়।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!