দুপুরের বজ্রপাতে পেকুয়া—কুতুবদিয়ায় লাশ ৩ যুবক

কক্সবাজারের পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকসহ ৩ জন মারা গেছেন।

রোববার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকায় ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়ারা হলেন- পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শরতঘোনার মো. হোছাইনের ছেলে কৃষক মো.আলী (৪০), কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লারপাড়ার জাকের উল্লাহর ছেলে ইমতিয়াজ (২৫) ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের কাঁচাগ্রামের ছাবের আহমদের ছেলে মো. করিম (৩৫)।

আরও পড়ুন: বজ্রপাত—আনোয়ারায় ঝলসে গেল কিশোরের শরীর, টেকনাফেও ‘প্রাণহানি’ পানের বরজে

এসময় নিহত ইমতিয়াজের ভাই মো. আক্কাস গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (রোববার) দুপুরের দিকে শরতঘোনা এলাকার মাঠে চাষের কাজ করছিলেন কৃষক মো. আলী। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ বজ্রপাতে মো. আলী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পেকুয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই মো. মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বজ্রপাতে নিহত কৃষক মো. আলীর লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে সময় চুল্লারপাড়া এলাকার ইমতিয়াজ ও মো.করিম মাছ ধরার নৌকায় কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে ইমতিয়াজ ও করিম গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাতের মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!