উঠে গেল সিদ্ধান্ত—চট্টগ্রাম মেডিকেলে আগের দামেই কিডনি ডায়ালাইসিস

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড আগের দামেই রোগীদের সেবা দিচ্ছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশের পর স্যানডরের ডায়ালাইসিসে সরকারি ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর হচ্ছে না।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, ভর্তুকির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিক নির্দেশনা পাওয়া গেছে। আপাতত স্যানডরের ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি আগের মতোই থাকছে। এছাড়া হাসপাতালে নতুন চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন বসেছে। সেখানেও কিছু রোগী যাচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চালু হওয়া চারটি ডায়ালাইসিস মেশিনে কিছু রোগী সেবা নিচ্ছেন। এখানে প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ পড়ছে ৪১৭ টাকা।

আরও পড়ুন: কয়েকটি কারণে বাড়ছে কিডনি রোগী, সচেতনতা জরুরি

জানা যায়, চমেক হাসপাতালের অধীন স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দেয়।

সরকারি ভর্তুকি বহাল থাকলেও নতুন বছর থেকে স্যানডরের বাড়ানো ফি কমেনি। ৫ শতাংশ হারে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।

ফি বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোর প্রতিবাদে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন রোগী ও স্বজনেরা। ১০ জানুয়ারি রাস্তা অবরোধ করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।

ডায়ালাইসিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেডের ম্যানেজার (হিসাব) নাজমুল হাসান জানান, ৫ শতাংশ হারে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি চুক্তি অনুযায়ী হয়ে থাকে। প্রতি বছরই ফি ৫ শতাংশ হারে বাড়বে মর্মে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। সে অনুযায়ী ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে ৫ শতাংশের বেশি টাকা বাড়েনি এবং এজন্য রোগী-স্বজনরা আন্দোলন করছে না।

তিনি দাবি করেন, ৫ শতাংশ হিসাবে ভর্তুকির সেশন আগের ৫১০ টাকার স্থলে বেড়ে ৫৩৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বেড়েছে ২৫ টাকা। আর বেসরকারি সেশনে আগে ২ হাজার ৭৯০ টাকার স্থলে এখন ২ হাজার ৯৩০ টাকা দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দেড়শ টাকার মতো বেড়েছে। রোগীরা বাড়তি এ টাকার জন্য আন্দোলন করছেন বলে আমরা মনে করি না। তারা সরকারি ভর্তুকি সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। কারণ সরকারি ভর্তুকির সুবিধা কমালে গরিব রোগীদের ডায়ালাইসিস খরচ বেড়ে যাবে।

ভর্তুকি সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, আগের নিয়মে রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা অব্যাহত রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সেটি মেনে আগের নিয়মে সেবা দিচ্ছি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!