চট্টগ্রামে চোখ বেঁধে তরুণীকে ‘বিকৃত যৌনাচার’—রিমান্ডে ২ ভাই

নগরের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার তরুণী বধূকে চোখ, হাত, পা বেঁধে ‘বিকৃত যৌনাচারে’ অভিযুক্ত স্বামী ও ভাসুরের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) পঞ্চম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- নগরের কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গিবাজার মসজিদ ভিটা এলাকার সোনা মিয়ার বাড়ির আব্দুল মোনাফের ছেলে ইব্রাহীম রনি ও তাঁর ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম ইরফান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজেদা বেগম সোনিয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) রিমান্ড শুনানির ধার্য তারিখে আদালত অভিযুক্ত দুজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চোখ বেঁধে তরুণীকে ‘বিকৃত যৌনাচার’, দুই ভাইকে বাঁচাতে মরিয়া চসিক কাউন্সিলর বিপ্লব

আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুলাই সিরাজুল ইসলাম ইরফানের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগী নারীর। বিয়ের পর থেকে স্বামী ইরফান সহবাসের সময় চোখ, হাত, পা বেঁধে বন্দী অবস্থায় তার সঙ্গে ‘বিকৃত’ সহবাস করতেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর একইভাবে সহবাসের সময় তাঁর হাতের বাঁধন খুলে যায়। চোখ খুলতেই দেখতে পান ভাসুর ইব্রাহীম রনিকে। পরে এ বিষয়ে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে তার মোবাইল ফোন নিয়ে নেন তিনি। একপর্যায়ে ঘটনা কাউকে জানালে তাঁকে খুন করার হুমকি দেন স্বামী ইরফান।

পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর মাকে সব ঘটনা খুলে বলেন তরুণী। জঘন্য এ ঘটনা শুনে স্ট্রোক করেন তাঁর মা। হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখতে গেলে দুপক্ষ সেখানে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরে তাঁকে রেখেই স্বামী ইরফান চলে আসেন।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার মেম্বার, চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবকে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু এরপরও কোনো সমাধান হয়নি।

পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী গত ১৯ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুরাদ এ মাওলা সোহেলের বরাবর মামলা আবেদন করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ২২ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জড়িত দুভাইকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরদিন ২৩ অক্টোবর ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মেহনাজ রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দেন। আজ (মঙ্গলবার) তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!