জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে চক্রান্তে উত্তাল চট্টগ্রাম, এবার ১০১ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবাদ

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম। প্রতিবাদে মুখর চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারাও। এবার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম শহর ও জেলার যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ ১০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বিবৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। মমিনুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে মুক্তিযোদ্ধারা তা অনুভব করেন। চট্টগ্রামের জনগণের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। প্রতিদিন অসংখ্য লোকের অভিযোগ শোনেন এবং সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি সরকারি ভূমি উদ্ধারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তাই একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রি মহল এই জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।

জেলা প্রশাসক

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন— চট্টগ্রাম শহর ও হাই কমান্ড সদস্য ডা. মাহফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল হারুন, শহর যুদ্ধকালীন কমান্ডার শাহজাহান খান, যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষক ফাহিমউদ্দিন আহমদ, শহর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, যুদ্ধকালীন মিরসরাই থানা কমান্ডার অহিদুল হক, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের প্রথম কন্ঠস্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র বণিক, বাঁশখালী-কুতুবদিয়া বিএলএফ কমান্ডার ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী, যুদ্ধকালীন বোয়ালখালী থানা কমান্ডার রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী (বিএলএফ), বোয়ালখালী থানা কমান্ডার মো. সোলায়মান (এফএফ), বোয়ালখালী এফএফ কোম্পানী কমান্ডার আবুল বশর, যুদ্ধকালীন বোয়ালখালী এফএফ কমান্ডার আ হ ম নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ১১নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার ডা. শাহ আলম ভূঁইয়া, যুদ্ধকালীন রাউজানের সিইনসি ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, যুদ্ধকালীন শহর কমান্ডার এসএসএম মাহবুব উল আলম, যুদ্ধকালীন শহর কমান্ডার মো. হোসেন, যুদ্ধকালীন শহর কমান্ডার মো. জাহেদ, যুদ্ধকালীন শহর কমান্ডার নুরুদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ার যুদ্ধকালীন কমান্ডার সালেহ আহমদ, হাটাজারীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার আহমদ ছফা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোখতারুল আলম, চন্দনাইশের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুল মজিদ ও ডেপুটি কমান্ডার জাফর আলী হীরু।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপপ্রচারে সুশীল সমাজের উদ্বেগ

আরো বিবৃতি দেন যুদ্ধকালীন চট্টগ্রাম শহরযোদ্ধা মো. হারিস, রেজাউল করিম বাচ্চু, আবুল কাসেম বিএসসি, আবুল হোসেন, আবদুল আহাদ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম রাজু, দেওয়ান মাকুসদ আহমদ, অরুণ দাশ সাথী, মনসুরুর রহমান, শফি খান, দোস্ত মো. ফজলুল হক ভূঁইয়া, অমল মিত্র, মুকুল দাস, রফিক চৌধুরী, আবুল কাসেম, তৌহিদুল করিম কাজল, অধ্যাপক ওয়াহিদুল আলম, মুলি মিয়া, আহমদ উল্লাহ, আনোয়ার খান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মিরসরাইয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী কুসুম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ডের মো. মনিরুল ইসলাম, মানিক লাল বড়ুয়া, সরওয়ার কামাল লাতু ও নৌ কমান্ডো মো. নুরুল গনি, ফটিকছড়ির নৌ কমান্ডো বদিউল আলম শাহ, জনার্দন হরি দে, পটিয়ার আজম সাদেক, কাজী আবু তৈয়ব, চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক পঙ্কজ কুমার দস্তিদার, জয়নাল আবেদীন, আনোয়ারার রাজা মিয়া, আবুল কাশেম, হাটহাজারীর জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, সাতকানিয়ার আবদুল হাকিম চৌধুরী, লোহাগাড়ার নুরুল ইসলাম ও আসকার আহমেদ সিকদার।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!