মোনাজাতে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপপ্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ । রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি জায়গা দখল করে ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা সুশাসন এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মোনাজাতে অংশগ্রহণ করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অপপ্রচার করা হয়েছে তা ধর্মীয় বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সাফল্য আর জনমুখী কাজে অখুশি চক্রটিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ।
এতে আরও বলা হয়, সুশাসনের পক্ষে, দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজ জেলা প্রশাসকের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমরা মনে করি, মোনাজাতের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে অপপ্রচার আবারো প্রমাণ করে, এটি কোনো নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং একটি প্রশাসনের পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট বিরোধিতা। ছিন্নমূল মানুষের স্বচ্ছ জীবনযাপনের অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি। দখলবাজদের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থার প্রণয়ন ও চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মু. ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রতিদিন-এর উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক, পতেঙ্গা মহাবারুণী ও গঙ্গাস্নান উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উত্তর জেলার যুগ্ম সম্পাদক আয়ান শর্মা, বাংলাদেশ সুফী মজলিস চট্টগ্রামের আহ্বায়ক সাংবাদিক শামসুল হুদা মিন্টু, দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রাম-এর নির্বাহী সম্পাদক বিশ্বজিৎ বণিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য প্রণব বড়ুয়া অর্ণব, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত বাঙালি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কাজী গোলাম সরওয়ার সুরুজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া, নাগরিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম, জুনিয়র চেম্বার বাংলাদেশের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, ভয়েস’র বার্তা প্রধান আলম দিদার, সাংবাদিক চৌধুরী মাহবুব, কাটগড় জেলেপাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা এস কে সাগর, কাটগড় জেলেপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি পান্না জলদাশ, রিপোর্টার্স ইউনিটি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক ইউনিয়ন টিভি ইউনিটের ডেপুটি চিফ তোহিদুল আলম, এটিএন নিউজের প্রতিবেদক মনিরুল ইসলাম পারভেজ, দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিবেদক ইমরান এইচ রাজু, দৈনিক মানবজমিনের ইনচার্জ জালাল রুমি, দৈনিক ভোরের পাতার ইনচার্জ এইচএম মামুন, সরকারি সিটি কলেজের সাবেক ভিপি রাজিব হাসান রাজন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ইয়াসির সিলমী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি কাজী রাসেল, কবি নজরুল একাডেমি চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক নুরুন নবী।