ছাত্রলীগ কর্মীকে পশুর মতো পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠাল

দোকানের সামনে ব্যানার টাঙানোয় এক ছাত্রলীগকর্মীকে পশুর মতো পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল এলাকায় সোমবার (১৯ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মোহাম্মদ সেকান্দর (৩০) ২৪ জুলাই আনোয়ারা থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন- ছৈয়দ আমিন (৪০), সেলিম শরীফ (৫২), মো. কাউছার (৩৬), রাশেদ শরীফ (২৫), মো. হাসান আমিন (২২), রায়হান শরীফ (৩২), শাহজাহান শরীফ লুলু (৩০), নুর শরীফ (৩৬) ও আশরাফ (১৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় সেকান্দরের দোকানের সামনে রাজনৈতিক ব্যানার টাঙানো ও বিলবোর্ড বসানো হতো। এতে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির লোকজন তাকে ব্যানার না টাঙানোর জন্য চাপ দিতো। এছাড়া বেশ কয়েকবার তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়।

কিছুদিন আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যানার টাঙানো হয়েছিল সেকান্দরের দোকানের পাশে। এর জের ধরে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ১৯ জুলাই তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দোকান ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা লুট করে তারা। সেকান্দরকে বাঁচাতে তার পরিবারের সদস্যরা এলে তাদেরও পেটানো হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় সেকান্দরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী মো. সেকান্দর বলেন, আমার দোকানের সামনে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দিবসের ব্যানার ও বিলবোর্ড টাঙানো হয়। কিছুদিন আগে ঈদুল আজহার ব্যানার টাঙানো ছিল। এতে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের বেশ কিছু নেতাকর্মী ক্ষেপে গিয়ে আমার ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় তাদের হামলার শিকার হয়েছে আমার পরিবার।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ছৈয়দ আমিন বলেন, সেকান্দর এবং তার ভাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিলবোর্ড ভাঙচুরের বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা থানার সহকারী পরিদর্শক আবুল ফয়েজ জুয়েল বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে সেকান্দর ও তার পরিবারের উপর হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমরান/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!