চট্টগ্রামে ৫ আসনে নৌকার টিকিট পেল নতুন মুখ, ১১ আসনে পুরোনোরা

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এসেছে নতুন মুখ, বাদ পড়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-১ আসনে (মিরসরাই) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন দলের জৈষ্ঠ্য নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল।

একইভাবে চট্টগ্রাম-২ আসনে (ফটিকছড়ি) খদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং চট্টগ্রাম-৩ আসনে (সন্দ্বীপ) মাহাফুজুর রহমান মিতা নৌকার মাঝি হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে (সীতাকুণ্ড) এসএম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আব্দুস সালাম এবং চট্টগ্রাম-৬ আসনে (রাউজান) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া) মো. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বোয়ালখালী) নোমান আল মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম-৯ আসনে (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নৌকার মাঝি হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) এম আব্দুল লাতিফ এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনে (পটিয়া) মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৩ আসনে (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে (চন্দনাইশ) নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আবু রেজা মু. নেজামউদ্দিন নদভী এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে (বাঁশখালী) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নৌকার হয়ে নির্বাচনে লড়বেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে তিনটি আসনে মনোনয়ন ফরম নিলেন আ জ ম নাছির

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা বা অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের। এতে চট্টগ্রাম-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ্য নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নির্বাচিত হন।

চট্টগ্রাম-২ আসনে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে মো. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রয়াত মঈনুদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রয়াত মো. আফছারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আব্দুল লাতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আবু রেজা মু. নেজামউদ্দিন নদভী এব্য চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বিজয়ী হন।

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে দুটি আসনের তিনজন সাংসদ মারা গেছেন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। সেই আসনে উপনির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন আহমেদ সাংসদ হন। তিন বছর সাংসদের দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনিও। এই আসনে ফের উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনে ২৭ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিতে চেয়ছিলেন। এতে দলীয়ভাবে মনোনীত হন নোমান আল মাহমুদ। একই বছরের ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হন।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচিত সাংসদ মো. আফছারুল আমিন ২০২৩ সালের ২ জুন ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ৩০ জুলাই। চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এই আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন।

আরএস/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!