চট্টগ্রামে নারীর গায়ে ৪১ ছুরির দাগ, সম্পদের লোভে ছুরি মেরে ভুঁড়ি ফেলে দিল বোনজামাই

ছোট বোনের স্বামীর ছুরিকাঘাতে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বড় বোন। এ ঘটনায় ছোট বোনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে গেছে বোনজামাই।

চকবাজার থানার ঘাসিয়াপাড়া এলাকায় রোববার (২০ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

আহত নারীর নাম সেলিনা আক্তার। তিনি নগরের ঘাসিয়াপাড়া এলাকায় বাপের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন।

এদিকে ঘটনার পর আহতের ছেলে মীর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আহতের ছোট বোনের স্বামী এস আলমের গাড়ি চালক জামাল হোসেন মুন্না ও বোন রেহেনা আক্তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই শাহজালাল বলেন, প্রধান আসামি মুন্নার মা এ ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মুন্নাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

আহতের ছেলে মীর মোশাররফ হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত ২০ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে খালু মুন্না ও খালা রেহেনা আমাদের বাসায় এসে আম্মুকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। আম্মু বলেন আমার বাপের বাড়ি ছেড়ে কেন যাব? এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মুন্না তার বাসা থেকে ছুরি এনে আমার সাত বছরের ছোট বোনের সামনে আম্মুকে ছুরিকাঘাত করেন। ছুরিকাঘাতে আম্মুর ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। এরপর পালিয়ে যায় মুন্না।

তিনি বলেন, আম্মু এক ঘণ্টা ধরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন। পরে পুলিশ এসে আম্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন, বুকের ছুরিকাঘাত গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকা অবস্থায় আম্মু জিপিওতে ৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র করেছিলেন। এ সময় আমার খালা রেহেনাকে নমিনি করেন। কিন্তু বর্তমানে আমি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর নমিনি পরিবর্তন করতে চাইলে তিনি দ্বিমত পোষণ করেন। তাছাড়া আমার নানার সম্পত্তির ভাগ বণ্টন নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এসবের জেরে আম্মুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!