চট্টগ্রামে করোনা : ১২ দিনেও নেই কোনো আহাজারি

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় শনাক্ত ও শনাক্তের হার দুটোই আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে মৃত্যুতে বজায় রয়েছে সাফল্যের ধারাবাহিকতা। টানা ১২ দিন চট্টগ্রামে করোনায় কোনো আহাজারি নেই। কারণ এই সময়ে যে মারা যাননি কোনো করোনা রোগী!

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ মৃত্যু হয়েছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন উপজেলায় ২ জনের মৃত্য হয়েছিল। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলায় ১ জনের মৃত্যু হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ১৯ জন এবং উপজেলায় ১০ জনসহ একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় দারুণ খবর

এদিন ১ ল্যাবে ২৬৭ নমুনায় পরীক্ষায় শনাক্ত ছিল শূন্য। এছাড়া ১০ উপজেলায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

আগের দিন শনিবার ১ হাজার ৫৫৯ নমুনায় শনাক্ত হয়েছিল ১৪ জন। এর মধ্যে নগরে আক্রান্ত ছিল ১২ জন, উপজেলায় ২ জন। শনাক্তের হার ছিল ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২ ল্যাবে ১ হাজার ৫৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ নমুনায় ১ জন, বিআইটিআইডিতে ২২৩ নমুনায় ১০ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৮৫ নমুনায় ৬ জন, শেভরনে ২৯৩ নমুনায় ২ জন, আরটিআরএলে ৮ নমুনায় ৩ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০০ নমুনায় ২ জন, ইপিক হেলথ কেয়ারে ১১৫ নমুনায় ১ জন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩১২ নমুনায় ২ জন ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৪২ নমুনায় ১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এদিন ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬৮ নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।

এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এদিন করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এছাড়া এদিন হয়নি এন্টিজেন টেস্টও।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ৩ সাফল্য

উপজেলার মধ্যে বাঁশখালীতে ১ জন, রাউজানে ১ জন, ফটিকছড়িতে ১ জন, হাটহাজারীতে ৩ জন ও সন্দ্বীপে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পটিয়া, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলায় এদিন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

নগরে ৯১ হাজার ৯২৩ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৪৪৭ জনসহ চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ জন। মোট মৃত্যু ১ হাজার ৩৬০। যার ৭৩৪ জন নগর এবং ৬২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!