চকরিয়ার নবী চেয়ারম্যানের ইশারায় মহেশখালী থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ৮ মহিষ

মহেশখালীতে মহিষ চুরির মামলায় চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোসেন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল মনসুর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. নাছিমের ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি মহিষ কয়েক বছর আগে চিংড়ি ঘের থেকে চুরি হয়। খবর পাওয়া যায় চুরি হওয়া মহিষগুলো চেয়ারম্যান নবীর কাছে আছে। এরপর মহিষের মালিক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে মহিষগুলো ফেরত দেবেন বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন চেয়ারম্যান নবী। একপর্যায়ে তিনি মহিষগুলো বিক্রি করে দেন।

পরে কোনো উপায় না দেখে মহিষের মালিক নাছিম ২০২১ সালের ৯ মে মহেশখালী থানায় মামলা করেন। চেয়ারম্যান নবী হোসেনের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ গেলেও তদন্তে চেয়ারম্যানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর চার্জশিটে ২ নম্বর আসামি করা হয় তাকে। এছাড়া মামলার অপর আসামি আবুল হাশেম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, চেয়ারম্যান নবী হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

এছাড়া ২০২১ সালের ৪ জুন রাতে মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে এবাদুল হকের ৬ লাখ টাকা মূল্যের চারটি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় পরদিন এবাদুল হক বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোসেনকে।

প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান নবী হোসেনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় দুটি চুরির মামলা রয়েছে।

এমএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!