চকরিয়ায় পা কেটে নেওয়া যুবকের মৃত্যু, কবজি হারানো ছোটনও শঙ্কায়

চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে হামলায় পা কেটে নেওয়া এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাতকাটা আরেক যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান যুবক ফজলে হাসান (৩০)। আহত যুবক হলেন মো. ছোটন (৩৫)।

নিহত ফজলে হাসান বদরখালী ইউনিয়নের মগনামাপাড়ার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে এবং ছোটন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালীপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালীপাড়ায় সশস্ত্র হামলার এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন : যুবকের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে বদরখালী জেটিঘাট স্টেশন থেকে মাতারবাড়িপাড়ার জিদান আল নাহিয়ানের মোটরসাইকেলে টুটিয়াখালীপাড়ায় ফিরছিলেন ছোটন ও ফজলে হাসান। টুটিয়াখালীপাড়ায় পৌঁছালে মসজিদের পাশের একটি দোকান থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এসময় জিদানের হাঁটুতে গুলি লাগে। এরপর মোটরসাইকেল থামিয়ে কারা গুলি করেছে, তা দেখতে যান ছোটন ও ফজলে। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোটনের বাম হাতের কবজি ও ফজলে হাসানের ডান পা কেটে মোটরসাইকেলের পাশে রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর পাঁচটার দিকে ফজলে হাসান মারা যান।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও পুলিশ বলছে, টুটিয়াখালীপাড়ায় দুটি বাহিনীর আধিপত্য রয়েছে। এর মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ করেন ছোটন। আরেকটি নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম নামের একজন। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি জমি সংক্রান্ত্র বিরোধের সালিশি বৈঠকে খুন হন টুটিয়াখালীপাড়ার জয়নাল আবেদীন। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি ছোটন। কয়েকদিন আগে ওই মামলায় জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হন তিনি।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফজলে হাসান মারা গেছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। আহত ছোটনের বাম হাতের বিচ্ছিন্ন কবজি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। হামলার দুটি পক্ষ অপরাধমূলক কাজে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!