বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানি—২ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী বলেন, নগরের বহদ্দারহটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ও উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম উপস্থিত না থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, নিহতদের লাশের সুরতহাল করেন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকায় তাদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু আজ তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুভাইয়ের গ্রেপ্তারে সমাপ্তি হলো ৩২ পরোয়ানার গল্পের

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে চান্দগাঁও থানার উপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশারফ হোসেন রিয়াজ, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!