গোয়াল ঘরে গৃহবধূর ওড়না পেঁচানো লাশ, ভাই বললেন ‘খুন’

মিরসরাইয়ে ফাঁসিতে ঝুলেছেন পারভীন আক্তার রুমা (৩৫) নামে দুই সন্তানের মা।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পোলমোগরা গ্রামের করিম উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে (চমেক) পাঠায়।

পারভীন আক্তার রুমা একই বাড়ির জুবাইদুল ইসলাম তুহিনের স্ত্রী। তিসান (১৫) ও মুরশাদ (৭) নামে তার দুছেলে রয়েছে।

আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূর আত্মহনন

রুমার ভাই মো. সরোয়ার বলেন, ২০০৩ সালে একই গ্রামের জুবাইদুল ইসলাম তুহিনের সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের সংসারে দুজন ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে ঘরোয়াভাবে কয়েকবার বৈঠকও হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টার দিকে খবর পাই আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।

সরোয়ার আরও বলেন, ঘরের পাশে গোয়াল ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যেভাবে আমার বোনকে ঝুলতে দেখা গেছে, মনে হচ্ছে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তখন আমার ভাগিনারাও ঘরের বাইরে ছিল।

খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পোলমোগরা এলাকায় এক গৃহবধূর আত্মহননের খবর শুনেছি। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহনন করেছেন বলে জানতে পারি।

যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক মো. আল আমিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পোলমোগরা এলাকায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ পাইনি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে মরদেহ চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!