শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে রুপনা দাশ নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ (১৯ জুলাই) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশ নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ৫ জনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- স্বামী রুপম কুমার দে, শ্বশুর রাখাল কুমার দে, শাশুড়ি বেলা রানী দে, ভাসুর কাঞ্চন কুমার দে ও জা উর্মি।
আরও পড়ুন: লামায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ, স্বামীকে আটক করল প্রতিবেশীরা
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ গ্রামের নিরঞ্জন দাশের মেয়ে রুপনা দাস ও ধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুম গ্রামের রাখাল কুমার দে’র ছেলে রুপম কুমার দে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রুপনাকে গৃহবধূ হিসেবে মেনে নেয়নি। তাই স্বামীসহ রূপনা মিরসরাই সদরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রুপনাকে ছেড়ে চলে যাব রুপম। পরে অসহায় রুপনা তার দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে একাধিকবার শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় চান।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কন্যাসন্তানকে নিয়ে পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপায় না দেখে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রুপনা। পরে স্থানীয়রা তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সোমবার বিকালে দক্ষিণ ধুম গ্রামের গৃহবধূ রুপনা দাশ নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে তাকে দগ্ধ অবস্থায় চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রুপনা দাসের বড় বোন বিউটি দাশ বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় রুপনা দাশের স্বামী, শশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এএ/আরবি