ক্ষেত্রপাল বিগ্রহ : সৌভাগ্যের দিন কাল

দেখতে শিবের জটার মতো। বছরে শুধু একবারই ভক্তরা দেখার সুযোগ পান ক্ষেত্রপাল বিগ্রহটি। ভক্তদের সেই সৌভাগ্যের দিন কাল (বুধবার)।

জনশ্রুতি আছে, বছরান্তে ঠাকুর সংখ্যা গণনায় বাড়তে কিংবা কমে যেতে সক্ষম। এর বহু প্রমাণও রয়েছে। এছাড়া ক্ষেত্রপাল বিগ্রহের অলৌকিক কিছু ঘটনাও রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, বিগ্রহের শ্রীচরণে ভক্তরা যা প্রার্থনা করেন তাই পান।

মহাসাধক নরসিংহ পারিয়াল দৈবযোগে এই ক্ষেত্রপাল বিগ্রহটি পেয়েছিলেন। ঋতুরাজ বসন্তের শেষে মহাবিষুব সংক্রান্তির আগের দিন পুণ্যময় তিথিতে সন্ধ্যার পর ক্ষেত্রপাল বিগ্রহটি জনসমক্ষে আনা হয় ভক্তদের দেখার সুযোগ করে দিতে।

বছর ঘুরে আবারও সেই সুযোগ এসেছে ভক্তদের কাছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৯টায় মন্দির প্রাঙ্গণে উত্তোলন করা হবে ক্ষেত্রপাল বিগ্রহ!

আরও পড়ুন: কৃষ্ণ মন্দির রোডের বৈদ্যের বস্তায় ছিল দেশি—বিদেশি মদ

রাউজানের পশ্চিম গুজরা পারিয়ালপাড়ায় স্থাপিত ৫০০ বছরের প্রাচীনতম সর্বজনীন শ্রীশ্রী ক্ষেত্রপাল বিগ্রহ মন্দির। প্রতিবছরের মতো এবারও সেখানে হবে ক্ষেত্রপাল পূজা, বলিদান, ভোগরাগ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। এ উপলক্ষে দুদিন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিক্রমার আয়োজন করেছে মন্দির কমিটি।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— ১৩ এপ্রিল (বুধবার) দুপুর ৩টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও উদ্বোধন, বিকাল ৪টায় গীতাপাঠ ও প্রতিযোগিতা, বিকাল ৫টায় ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যারতি, রাত ৮টায় নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ, রাত ৯টায় শ্রীশ্রী ক্ষেত্রপাল বিগ্রহ উত্তোলন ও শুভ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, রাত সাড়ে ৯টায় কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সভা এবং রাত ১০টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ।

এছাড়া ১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টায় চণ্ডীপাঠ, সকাল ৭টায় পূজা গ্রহণ, বেলা ১২টায় শ্রীশ্রী ক্ষেত্রপাল বিগ্রহের পূজা আরম্ভ, বেলা ১টায় ঠাকুরের ভোগ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ, বেলা ২টায় বলিদান, বেলা ৩টায় পূজা বিতরণ এবং নিলাম অনুষ্ঠান হবে।

এদিকে দুদিনের আয়োজনের প্রতিটি পর্বে ভক্তদের সার্বিক সহযোগিতা উপস্থিতি কামনা করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতি জয়দীপ রায় চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অসীম পারিয়াল।

এর আগে সর্বজনীন শ্রীশ্রী ক্ষেত্রপাল বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টায় মন্দির প্রাঙ্গণে এই সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মৃদুল পারিয়াল।

সভায় সর্বসম্মতিতে আগামী ৩ বছরের জন্য প্রকৌশলী জয়দীপ রায় চৌধুরীকে সভাপতি ও অসীম পারিয়ালকে সাধারণ সম্পাদক, লাভলু পারিয়ালকে অর্থ সম্পাদক, চন্দন বিশ্বাসকে সাংগঠনিক সম্পাদক, দোলন পারিয়ালকে প্রচার সম্পাদক, অজিত সিংহকে দপ্তর সম্পাদক ও অমিত পারিয়ালকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক করে করে ৫৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

মন্দিরে যেতে হবে যেভাবে
চট্টগ্রাম শহরে থেকে অটোরিকশা যোগে সরাসরি অথবা বরিয়াখালী গেইট নেমে অটোরিকশায় কেরানিহাটের কাছে পারিয়ালপাড়া।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!